দেশের ৫০ জেলা ও ৪০০ উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকা পুরোপুরি লকডাউনের প্রস্তাব রোববার (৭ জুন) রাত পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি। উল্টো ওয়েবসাইট থেকে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা ভাগ করে লকডাউনের জেলাভিত্তিক তথ্যও সরিয়ে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ফলে অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোনো এলাকা নতুন করে লকডউন হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ রোববার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার (৬ জুন) এলাকাভিত্তিক লকডাউন সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকবেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা শহরের দু’টি স্থান এবং দেশের তিনটি জেলা লকডাউন করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই প্রস্তাবনা সরকারিভাবে অনুমোদিত হয়নি।
তিনি আরও জানান, লাকডাউন কবে কখন শুরু হবে, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। www.corona.gov.bd শীর্ষক একটি ওয়েবসাইটে ঢাকার বিভিন্ন স্থান এবং বিভিন্ন জেলা লকডাউনের যে তথ্য দেয়া হয়েছিল, ওয়েবসাইট থেকে সে তথ্য ইতিমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (৬ জুন) ওই ওয়েবসাইটের তথ্য দিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে লাকডাউন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হলে জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এদিকে, শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সারাদেশে করোনাক্রান্ত এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হবে। এজন্য শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে শিগগিরই তাতে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী ওই দিন আরও বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন- ‘করোনা আক্রান্ত হারের উপর ভিত্তি করে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে এলাকা ভাগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে একটি তালিকা করে কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও জানিয়েছিলেন বিশ্লেষণ করে সংযোজন বা বিয়োজনের সিদ্ধান্ত দেবেন। অথবা প্রস্তাব যাচাই করতে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তার সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’